জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ শেখ ও আমিনুল ইসলাম। উভয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে। কিন্তু দু’জনের ডাকনামে রয়েছে বেশ মিল। মহিবুল্লাহ শেখের অপর নাম শেখ জিসান আহমেদ, পরিচিত ‘জিসান’ নামে। আর আমিনুলের ডাকনাম যীশান। এটিই কাল হয়েছে শেখ জিসান আহমেদের। এমনটিই দাবি করেছেন এই শিক্ষার্থী। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বাচনী অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন তিনি।
এ ছাড়া উভয়ের প্রার্থিতার পদেও মিল রয়েছে কিছুটা। জিসান স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে, আর যীশান ছাত্রদলের প্যানেল থেকে নাট্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। শেখ জিসান আহমেদের অভিযোগ, উভয়ের ডাকনাম ব্যালটে উল্লেখ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাকে ভোট দিতে গিয়ে যীশানকে ভোট দিয়ে এসেছেন। তবে সংখ্যাটা কম নয়, প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী এমন ভুল করেছেন বলে দাবি তার। বলছেন, ব্যালটে নাম ও নম্বরের পাশে ছবি থাকলে ভোটাররা এমন বিভ্রান্তিতে পড়তেন বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন আরেক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘অনেক ভোটার কনফিউজড হয়ে ভোট এলোমেলো করে ফেলছে। এ সংখ্যাটা প্রচুর। কপাল খারাপ বলব, না প্রশাসনের গাফিলতি বলব বুঝতে পারছি না। ব্যালটের পাশে ছবি থাকলে এই সমস্যাটা হত না।’
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসুর ভোটগ্রহণ। ছাত্রদলসহ ৫ প্যানেলের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় ভোট গণনা। ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুনঃ
Comments
Post a Comment